বাংলা একাডেমিতে নজরুল স্মরণ

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি গতকাল বিকেল ৪টায় একাডেমির নজরুল মঞ্চে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি গতকাল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২ বঙ্গাব্দ, ২৪ মে ২০১৫ রোববার বিকেল ৪টায় একাডেমির নজরুল মঞ্চে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন। ‘নজরুলের প্রবন্ধ : রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক একক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

স্বাগত ভাষণে মো. আলতাফ হোসেন বলেন, কবি নজরুল আমাদের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষা দান করেছেন। তাঁর অমর চেতনায় আমরা সব অশুভের বিরুদ্ধে আজও ঐক্যবদ্ধ হই। জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে তাঁর আদর্শের প্রতিফলন ঘটাতে পারলেই নজরুলকে স্মরণ করা সার্থক হবে।  

একক বক্তা অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম প্রধানত বিদ্রোহী কবি হিসেবেই বাঙালির কাছে পরিচিত। এ ছাড়া তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন অসাধারণ সব গানের জন্য। তবে প্রাবন্ধিক হিসেবে তাঁর পরিচয় ফুটে উঠেছে সাংবাদিকতার সূত্রে। সান্ধ্য দৈনিক নবযুগ, অর্ধসাপ্তাহিক ধূমকেতু, সাপ্তাহিক লাঙ্গল ও সাপ্তাহিক গণবাণীতে সমকালে স্বদেশ ও বিশ্বের সাড়াজাগানো ঘটনা ও প্রসঙ্গ নিয়ে অনেক সম্পাদকীয়-নিবন্ধ লিখেছেন তিনি। সেগুলোতে তাঁর রাজনৈতিক ভাবনার পরিচয় বিধৃত আছে।

ড. মাহবুবুল হক আরো বলেন, নজরুলের প্রবন্ধে তাঁর অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদবিরোধিতা ইত্যাদি বজ্রবাণীর মতো ফুটে উঠেছে। কবিতা ও গানের মতো প্রবন্ধেও তিনি স্বদেশের পূর্ণ স্বাধীনতা এবং নিম্নবর্গের মানুষ ও সমগ্র বিশ্বমানবতার মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন যা সমকালীন হয়েও চিরায়ত। 

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাবন্ধিক নজরুল তাঁর সাম্যবাদী-অসাম্প্রদায়িক সত্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তাঁর প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সম্পাদকীয় কলামে। এসব রচনায় যে নির্ভীক-সাহসী-মানবতাবাদী নজরুলের পরিচয় আমরা পাই, তা সমগ্র নজরুলেরই অনিবার্য অংশ। প্রাবন্ধিক নজরুল বিষয়ে আরো বিস্তৃত গবেষণা হওয়া জরুরি। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী এস এম মাহিদুল ইসলাম। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরা, বুলবুল মহলানবীশ ও সুজিত মোস্তফা।