ষষ্ঠ দিনের অমর একুশে বইমেলা

শতাধিক নতুন বইয়ের বেশির ভাগই কবিতার

Looks like you've blocked notifications!

অমর একুশে বইমেলার ষষ্ঠ দিন ছিল আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি)। এদিন নতুন বইয়ের তালিকায় যোগ হয়েছে শতাধিক বই। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই কবিতার। আছে গল্প, উপন্যাস ও অন্যান্য। বাংলা একাডেমি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আজ বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে বইমেলা চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেলায় প্রতিদিনের মতো আজও ছিল একই দৃশ্য। পাঠক-পাঠিকাদের উপস্থিতি ছিল গতকালের মতোই। বই বিক্রিও ছিল মোটামুটি।

সূত্র বলছে, আজ ১০৮টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে, যা ছয় দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। আজ প্রকাশিত হওয়া বইগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৫টি কবিতার বই। এ ছাড়া ১০টি গল্প, ১৪টি উপন্যাস চারটি গবেষণা, একটি করে ছড়া ও শিশুসাহিত্য, চারটি জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ও বঙ্গবন্ধুবিষয়ক তিনটি করে মোট ছয়টি, একটি রচনাবলী, বিজ্ঞানবিষয়ক একটি, ইতিহাস একটি, রাজনীতি একটি, ধর্মীয় চারটি, অনুবাদ একটি, অভিধান একটি এবং অন্যান্য আটটি বই প্রকাশিত হয়েছে।

আজ বইমেলার মূলমঞ্চে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ : মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জফির সেতু। আলোচনায় অংশ নেন শাহিদা খাতুন এবং সৌমিত্র শেখর।

সভাপতির বক্তব্যে আবদুল খালেক বলেন, লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ও গবেষক মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন লোকসাহিত্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ জাগ্রত করার জন্য কাজ করেছেন। লোকসাহিত্যের স্রষ্টা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি সহজেই মিশে যেতে পারতেন। লোকসাহিত্য পরিমণ্ডলে তিনি যে অসাধারণ কীর্তি রেখে গেছেন, তা বাঙালি সংস্কৃতিকে আলোকিত করেছে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন প্রাবন্ধিক খান মাহবুব, শিশুসাহিত্যিক শেলী সেনগুপ্তা, গবেষক নিগার চৌধুরী এবং কবি আহমেদ শিপলু। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি সাজ্জাদ আরেফিন, ফারহান ইশরাক এবং সৌম্য সালেক। আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝর্ণা সরকার এবং মো. কামাল হোসেন কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।

দলগত আবৃত্তি পরিবেশন করেন জাহাঙ্গীর চৌধুরীর পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘উদ্ভাস আবৃত্তি সংগঠন’। এ ছাড়া ছিল কাঙাল মজিবরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কাঙাল হরিনাথ সাংস্কৃতিক সংগঠন’-এর পরিবেশনা।

সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী নারায়ণ চন্দ্র শীল, বিমল বিশ্বাস, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, শান্তা সরকার, শ্যামল কুমার পাল, আজমা সুরাইয়া শিল্পী এবং শারমিন সুলতানা। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন জয়সিংহ রায় (তবলা), আনোয়ার সাহদাত রবিন (কী-বোর্ড), মো. হাসান আলী (বাঁশি) এবং বিশ্বজিৎ সেন (মন্দিরা)।