উচ্ছ্বাসে ঘেরা বইমেলার শিশুচত্বর

Looks like you've blocked notifications!
বইমেলার শিশুচত্বরে সন্তানকে নিয়ে অভিভাবকরা। ছবি : ফোকাস বাংলা

সাপ্তাহিক কর্মছুটির দিন ছিল আজ। আর ছুটির দিনের বইমেলা মানেই শিশুদের উচ্ছ্বাস ঘেরা সকাল। কারণ, এদিনে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত থাকে শিশুপ্রহর। তাই মা-বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে শিশু চত্বরে ভিড় করে শিশুরা। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মেলার ফটক খুলতেই ঢুকতে শুরু করে শিশুরা। তারাই মাতিয়ে তোলে মেলা। আগামীকাল শনিবারও থাকবে শিশুপ্রহর। এই দুদিন শিশুদের বই বেশি বিক্রি হয় বলে জানান শিশুকিশোর উপযোগী বইয়ের প্রকাশকরা।

আজ শিশুপ্রহরে সিসিমপুরে মঞ্চের দিকে ছিল সবার নজর। নাচানাচি, গান তো ছিলই, সঙ্গে ছিল চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রযোগিতা। সেসবে মেতে ওঠে শিশুরা। বই কেনাকাটায় যে উচ্ছ্বাস আর কেনার পর যে উচ্ছলতা, তা ছিল চোখে পড়ার মতো।

আকিব, সৌহার্দ্য, মমি, ফারহানের মতো অনেকেই তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে বই পছন্দ করছিল। তাদের বয়স প্রায় একই। হবে ১২ বা ১৩। এনটিভি অনলাইনকে জানায়, ঈশপের সব গল্প না কি তাদের পড়া শেষ। কথা বলে জানা গেল, তারা এখন চায় অ্যাডভেঞ্চারের বই। কার গল্প ভালো লাগে জিজ্ঞেস করতেই বলল, হ্যারি পোর্টারের। তবে, হ্যারি পোর্টার যে লেখক না, বরং এই কাহিনির লেখিকা জে কে রাউলিং—তা কিন্তু তারা জানত না। শুনেই একটু লাজুক চোখে বলল, তারা হ্যারি পোর্টারের বই পেলেই খুশি।

ছোটবড় অনেক শিশুরা সিসিমপুর মঞ্চে লাফালাফি করছিল। বোঝাই যাচ্ছিল—এতেই তাদের যতো আনন্দ। তা ছাড়া টিভি পর্দায় শিশুদের কাছে জনপ্রিয় চরিত্র ইকরি, হালুম, টুকটুকি, শিকু, জুলিয়ার সঙ্গে তারা দিচ্ছিল আড্ডা।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ১০টায় আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন হয়। মেলার পরিচালনা কমিটি জানায়, অমর একুশে বইমেলার উদযাপনের অংশ হিসেবে এই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হচ্ছে। বিভিন্ন পর্বে এ প্রতিযোগিতা চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।