সফিউদ্দিন আহমদের ‘নতুন প্রত্যয়ের আলোকে’ গ্রন্থের সুবর্ণজয়ন্তী

Looks like you've blocked notifications!

প্রখ্যাত গবেষক, সাহিত্যিক ড. সফিউদ্দিন আহমদের প্রথম গ্রন্থ প্রবন্ধ সংকলন ‘নতুন প্রত্যয়ের আলোকে’ এর সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালে গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশের অর্ধশত বছর পর গ্রন্থটি নতুন আঙ্গিকে, পরিমার্জিত সংস্করণে পুনঃপ্রকাশ করেছে আজব প্রকাশ। প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ অবলম্বনে আজব সংস্করণের প্রচ্ছদ করেছেন সাকী আহমদ।

খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ড. সফিউদ্দিন আহমদের বর্তমান বয়স ৮৫। একসময় গণমাধ্যমে সরব উপস্থিতি থাকলেও বর্তমানে অনেকটাই নিভৃত জীবনযাপন করছেন তিনি। তবে প্রথম গ্রন্থের ৫০ বছর পূর্তিতে নতুন আঙ্গিকে প্রকাশিত হওয়াতে ভীষণভাবেই আপ্লুত তিনি। বইটি প্রকাশ করার জন্য অভিনন্দন জানান আজব প্রকাশ-এর প্রকাশক জয় শাহরিয়ার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে।

বইটি প্রসঙ্গে সফিউদ্দিন আহমদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পর এক আত্মিক সংকটে ভুগছিল এই দেশ-সমাজ। স্বাধীনতা পরবর্তী কয়েকটি বছর এদেশের শিল্পী-সাহিত্যিকদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে হয়েছে। এই গ্রন্থটিতে যোজিত প্রবন্ধসমূহ সেই আকরেই। এতে যেমন আলোচিত ব্যক্তিত্বদের বিষয়ে বিশদ আলোচনা রয়েছে, তেমনি তৎকালীন নানা বিষয় ও প্রসঙ্গে সমালোচনাও রয়েছে। আমি আমার সাহিত্য-সাধনা ও গবেষণায় এই সততাটুকু রক্ষা চেষ্টা করে চলেছি আজবধি। তবে প্রবন্ধগুলো সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে। আজ থেকে ৫০ বছরেরও আগের সময়ের কথা বলছি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু বিষয় হয়তো অসঙ্গতিপূর্ণও মনে হতে পারে। সেই দায়ভার সম্পূর্ণরূপেই আমার।

বইটির প্রকাশক জয় শাহরিয়ার বলেন, দেশের যশস্বী এই ব্যক্তির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের অর্ধশত বর্ষপূর্তি উদযাপনের অংশ হতে পারা আমার জন্য আনন্দের বিষয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের জীবন ও সৃষ্টকর্মও নিয়েও আমি নিয়মিত কাজ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, এই প্রজন্মের পাঠকরাও ‘নতুন প্রত্যয়ের আলোকে' পাঠ করার মাধ্যমে নতুন নতুন আলোকে প্রত্যয়ী হয়ে উঠবে।

বাংলা একাডেমি, বিশ্বসাহিত্য ভবন, মুক্তধারা, নওরোজ কিতাবিস্তান, কথাকলি, অনন্যা, মিজান পাবলিশার্স, বাংলা প্রকাশ, রোদেলা, নান্দনিক প্রভৃতি স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা থেকে ড. সফিউদ্দিন আহমদের প্রকাশিত হয়েছে এক শতাধিক মৌলিক গবেষণা, অনুবাদ এবং সম্পাদিত গ্রন্থ। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘শিক্ষা পরিকল্পনায় শিক্ষার মাধ্যম ও মাতৃভাষা’, ‘ইয়ং বেঙ্গল মুভমেন্ট ও ডিরোজিও’, ‘ডিরোজিও: জীবন ও সাহিত্য’ প্রভৃতি গ্রন্থ বেশ সমাদৃত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তার সাহিত্য বিষয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণাকর্মের জন্য তিনি ‘বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার’-এ ভূষিত হয়েছেন। দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী’র কেন্দ্রিয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংস্কৃতিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর তাঁকে শিল্পকলা পদক সম্মানিত করা হচ্ছে।