‘সপ্তাহে একটি বই পড়ি’র পাঠকেরা এবার মেতেছিলেন দুলে ওঠা সরিষাক্ষেতে
সপ্তাহে একটি বই পড়ি। সংগঠনটি যশোরের বই পড়াকে তরুণদের মধ্যে আনন্দময় অভ্যাসে পরিণত ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। সাপ্তাহিক চলে সাহিত্য পাঠচক্র। বইয়ের বিষয়বস্তুর সঙ্গে প্রকৃতি ও পরিবেশের সামঞ্জস্য রেখে মাঝেমধ্যে আয়োজিত হয় বিশেষ পাঠচক্র; যা ‘প্রতিবেশ অধ্যয়ন’ নামে অভিহিত।
এমনই এক প্রতিবেশ অধ্যায়নে সম্প্রতি মিলেছিল এক ঝাঁক তরুণ পাঠক-পাঠিকা। তারা যশোরের মোষহাটি, সুলতানপুরের বিপুল প্রসারিত হলুদময় সরিষাক্ষেতে মনোরম পরিবেশে বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ‘অবরোধ-বাসিনী’ বইটি নিয়ে বসে। দূরদিগন্তের বেষ্টনে বিস্তৃত নীলাকাশের নিচে মিষ্টি নরম রোদে কোমল বাতাসের দোলায় দুলে ওঠা অবারিত হলুদিয়া সরিষাক্ষেত সংলগ্ন মাঠে এ পাঠচক্রে মেতে থাকেন তারা সেদিন।
পাঠচক্রবন্ধু মুরাদ হোসেনের সঞ্চালনায় ও সালেহা সুলতানা ঊষার কণ্ঠে সূচনাসঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘তোমার খোলা হাওয়ায়’ পরিবেশনের মাধ্যমে আলোচনাপর্ব শুরু হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হরিদাস বিশ্বাসের স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের নানাবিধ কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
আলোচনাপর্বে অংশগ্রহণ করে পঠিত বইয়ের আলোচনার পাশাপাশি নিজেদের জীবনের নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে শিক্ষাগ্রহণ কার্যক্রম চলমান রাখার গল্প শোনান পাঠচক্রবন্ধু হামিদা হিমু, সাদিয়া তাবাসসুম, মুসকান হাসান, লিমা খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌস ইলা, ইথিলা খাতুন।
এদিন পাঠচক্রবন্ধুদের লেখা সম্পাদনায় ও চিত্রায়ণে ‘সাহিত্য চর্চাপত্র’ তৃতীয় বর্ষ, ডিসেম্বর সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছে। সংখ্যাটি সম্পাদনা করেন পাঠচক্রবন্ধু অপু দেবনাথ।
নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বেগম রোকেয়ার জীবনী, সাহিত্যকর্ম ও সাহিত্য চর্চাপত্র নিয়ে আলোচনা করেন সপ্তাহে একটি বই পড়ির প্রতিষ্ঠাতা শাহজাহান কবীর, আলোক সহযাত্রী মনিরুল ইসলাম ও জাহিদ হোসেন।