পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ)। ১৯৭৬ সালের আজকের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন গ্রাম বাংলার মাটি মানুষের এই কবি। পল্লিকবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় শহরের গোবিন্দপুর এলাকার কবির পৈতৃক বাড়ির আঙিনায় ডালিম গাছের নিচে কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবীর। এতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি শিক্ষক, সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
পল্লীকবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে। সেখানে প্রাথমিক শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বাল্য বয়স থেকেই কাব্য চর্চা শুরু করেন। কবির ১৪ বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় তৎকালীন কল্লোল পত্রিকায় তার একটি কবিতা প্রকাশিত হয়।
কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাখালি। এরপর তার ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কবি ১৯৭৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
এ ছাড়া পল্লীকবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে, নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাঁশি, রাখালি ও বালুচর প্রভৃতি।