অজ্ঞাত আসামি করে কোম্পানিগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা মামলা

Looks like you've blocked notifications!
সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার আজ মঙ্গলবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে এ মামলা করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওসি জানান, মামলায় কাউকে আসামি করা না হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ঘটনায় প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

এদিকে, বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে নোয়াখালী সাংবাদিক ইউনিটি ও ‘নিরাপদ নোয়াখালী চাই’ সংগঠনের নেতারা। তাঁরা নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আজ মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন করে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নোয়াখালী সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি এনটিভির মো. মাসুদ পারভেজ, টিভি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক যমুনা টিভির মোতাছিম বিল্লাহ সবুজ, চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি আলাউদ্দিন শিবলু, নিরাপদ নোয়াখালী চাই সংগঠনের সমম্বয়ক সাইফুর রহমান রাসেল প্রমুখ।

গত শুক্রবার বিকেলে চাপরাশিরহাট বাজারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের একটি প্রতিবাদ সমাবেশ চলছিল। সমাবেশে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করা হয়। এ সময় পৌর মেয়র কাদের মির্জার সমর্থক চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনের লোকজন গিয়ে সেখানে উপস্থিত হলে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং একপর্যায়ে তারা ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পৌর মেয়র কাদের মির্জা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে পাশের চরকাঁকড়া নতুন বাজার নামক স্থানে তাঁকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

এদিকে ওই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় উভয় পক্ষের আটজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে গুলি ছুড়েও সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। ফলে ঘটনাস্থল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পরে আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে সাংবাদিক বুরহানসহ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে গত শনিবার রাতে মৃত্যু হয় বুরহানের।