অবশেষে ভোলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামত শুরু

Looks like you've blocked notifications!

অবশেষে চার দিন পর ভোলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তবে এখনো পানি ঢোকা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। একই সঙ্গে অপর পাশের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে বাঁধের পাশেরই মাটি কেটে। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর পাউবো বলছে, এটি বাঁধের কোরামিন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামানসহ ভোলা পাউবো-১-এর অন্য কর্মকর্তারা ভাঙা বাঁধ মেরামতের জন্য বল্লি বসানো ও জিও ব্যাগে বালুভর্তি করাসহ সার্বিক কাজ তদারক করছেন। আগের দিন মেঘনা নদী থেকে ওঠানো বালু ভাঙা বাঁধের অপর পাশে ফেলা হয়েছিল। গতকাল ওই বালু দিয়েই জিও ব্যাগ ভর্তি করেন শ্রমিকরা। তবে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বালু ও বল্লি না থাকায় কাজের গতি ছিল খুবই কম।

এদিকে, নদী শান্ত ও বৃষ্টি না হওয়ায় পরিবেশ অনুকূলে থাকলেও পাউবোর কর্মকর্তারা তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

ভোলায় বাঁধের পাশে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ওই বাঁধেই ফেলা হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

এ সময় স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রথমেই যখন বাঁধের নাজুক অবস্থার কথা বলা হয়েছিল, তখনই বাঁধ ঠিক করলে আজ পানিতে কষ্ট পেতে হতো না, ভেসে যেত না পুকুর ও ঘেরের মাছ। একই সঙ্গে কাজের ধীরগতি দেখেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। তাঁরা টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের যে এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, তার পাশেই অপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মেরামত করা হচ্ছে। তবে মেরামত দেখে রীতিমতো চোখ কপালে স্থানীয়দের। বাঁধের পাশে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ওই বাঁধেই ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি দেখে স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এসব বিষয় নিয়ে পাউবো-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামানের সঙ্গে ঘটনাস্থলে আলাপ হলে তিনি বলেন, ‘এটা হচ্ছে বাঁধের কোরামিন দেওয়া। মানুষকে যেমন কোরামিন দেওয়া হয়, তেমনি এটাও হচ্ছে বাঁধের কোরামিন। যদিও এটা অন্যায়, তার পরেও কিছু করার নেই। এ মুহূর্তে মাটি পাওয়া যাবে না, তাই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুকনো সময় এলে বাঁধ টেকসই করে মেরামত করা হবে।’