অবশেষে যুবলীগ নেতা ‘হত্যাচেষ্টা’র মামলা নিল পুলিশ

Looks like you've blocked notifications!
রাঙামাটির আহত ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দিন। ছবি : এনটিভি

অবশেষে রাঙামাটিতে যুবলীগ নেতা নাসিরের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেছেন যুবলীগ নেতা নাসিরের স্ত্রী মোছাম্মদ সালেহা আক্তার।

এর আগে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়া এবং সময় নষ্ট করার অভিযোগ করেন আহত নাসিরের পরিবার।

কোতোয়ালি থানায় করা এ মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনসহ আট ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন রাঙামাটি শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. মিজান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. শাকিল, ছাত্রলীগ কর্মী আজমীর, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপংকর দে, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব খান শিপলু।

লিখিত অভিযোগে সালেহা আক্তার বলেন, ‘আসামিরা আমার স্বামীকে প্রত্যাশা ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে আসামিরা আমার স্বামীকে গলা কেটে হত্যার উদ্দেশে হাত পা মুখ চেপে ধরে মাটিতে শুয়ে ফেলেন এবং বাম পায়ের গোড়ালির রগ কেটে দেন। তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে আসামিরা আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে ভেবে সদর হাসপাতালের বাইরে অন্ধকারে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।’

রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, ‘আমরা অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে এবং পরিবারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে মামলা নিতে কিছুটা দেরি করেছি। এখন যেহেতু মামলাটি হয়েছে, আইন তার স্বাভাবিক গতিতেই চলবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি রাঙামাটি শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম ও পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কয়েকজন যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। আহত নাসির সরাসরি কয়েকজনের চিনেছেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীদের। তবে অভিযুক্তদের একজন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন, এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানোকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন। এ ঘটনার পর তিনদিন ধরে থানায় দফায় দফায় গিয়েও মামলা করতে না পারায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন আহত যুবলীগ নেতা নাসিরের মা হামিদা বেগম ও স্ত্রী সালেহা আক্তার। তবে পুলিশ পরিবারের সিদ্ধান্তহীনতাকেই মামলা না হওয়ার জন্য দায়ী করেছে। অবশেষে ৩০ জানুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে রাতে মামলাটি নথিভুক্ত করে পুলিশ।