অবশ্যই এটা কালো আইন : মির্জা ফখরুল
সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাটের সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে বলেই স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থে হাত দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল বুধবার সংসদে পাস হওয়া স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমাকরণ আইনকে ‘কালো আইন’ হিসেবে অভিহিত করেন বিএনপির এ নেতা। এ ছাড়া দুই সিটির পুনর্নির্বাচনের দাবিকে তিনি জনগণের দাবি হিসেবে অভিহিত করেন।
গতকাল বুধবার সংসদে পাস হয় স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক, নন-ফিন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থার তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমাকরণ বিল।
এর ফলে তালিকা করা স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ৬১টি প্রতিষ্ঠানের তহবিলে থাকা উদ্বৃত্ত অর্থ সরকার নিতে পারবে। বিলটির তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিলটির সমালোচনা করে বলেন, ‘স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ টাকা নেয়নি। প্রত্যেকের নিজস্ব তহবিল রয়েছে। তারা এটার আরো উন্নতি করে। প্রজেক্টগুলো তাঁরা বাস্তবায়িত করেছে, একই সঙ্গে আরো বিস্তার লাভ করছে।’
বিএনপির এ নেতা একে ‘কালো আইন’ অভিহিত করে বলেন, সরকার কতটা দেউলিয়া হলে সবখান থেকে টাকা কোষাগারে নিয়ে যাবে এবং সেখান থেকে তাদের মেগাপ্রজেক্টে খরচ করবে। এ দিয়ে দুর্নীতির পথকে আরো প্রশস্ত করা হচ্ছে।’
পুনরায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন দাবি করায় বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের বিষয়েও কথা বলে মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। একটা জাতির যে আশা-আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার, সেটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সুতরাং সেই ক্ষেত্রে মামার বাড়ির আবদার এটা বলে তো কোনো লাভ নেই। মামা বাড়ির আবদার তো নয়, এটা জনগণের দাবি। জনগণ যারা যুদ্ধ করে, লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছে—তাদের এটা পাওনা। তাদের এটা প্রাপ্য যে, একটা সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে।