অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে রাজউক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ডিজাইন শাখার কার্য তদারককারী মান ২-এর কর্মকর্তা জাজাউল হক মুন্সী জুন্নুকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন। আসামি জাজাউল হক মুন্সী জুন্নু গোপালগঞ্জের বৌলতলীর কলপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বিচারক আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরো তিন মাস কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া রায়ে আসামির অবৈধভাবে অর্জিত ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় দুদকের আইনজীবী রুহুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, আসামি জাজাউল হক মুন্সী জুন্নু জামিনে ছিলেন। তিনি আজ আদালতে হাজির হননি। তাঁর পক্ষে আইনজীবী সময় আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।
নথি থেকে জানা যায়, আসামি জুন্নু রাজউকে কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৯৯৮ সালের জুন মাস থেকে ২০১৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সর্বমোট ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৫২৩ টাকা আয় করেন। ওই সময়কালে তিনি ব্যয় করেছেন চার লাখ ৬০ হাজার ৪০০ টাকা। আয় হতে ব্যয় বাদ দিলে তাঁর সম্পদ থাকার কথা দুই লাখ তিন হাজার ১২৩ টাকা। কিন্তু তাঁর ও তাঁর পোষ্যদের নামে ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৭ টাকার সম্পদ। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ সদরে কেনা সম্পত্তির চারটি দলিলে দুটিতে তিনি তাঁর পেশা ব্যবসা উল্লেখ করেন।
নথি থেকে আরো জানা যায়, জুন্নু যে বেতন-ভাতা পান তা দিয়ে সংসারের খরচ নির্বাহ করে জমি কিনতে পারার কথা নয়। তিনি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৫১৪ টাকা অবৈধ অর্থ দিয়ে জমি কিনেছেন মর্মে দুদক উপপরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তী সময়ে একই কর্মকর্তা মামলাটি ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।