অবৈধ সম্পদ : ডিআইজি বজলুরের সাক্ষ্য শুরু ১৮ জুলাই

Looks like you've blocked notifications!
কারা অধিদপ্তরের বরখাস্ত হওয়া উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদ। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারা অধিদপ্তরের বরখাস্ত হওয়া উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৮ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এই আদেশ দেন।  

এর আগে গত বছরের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ণ হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। এরমধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেন। 

এই অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁর আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭(১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য রূপায়ণ হাউজিং স্টেটের সঙ্গে বজলুর রশীদ চুক্তি করেছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের ৭ জুন পর্যন্ত ৫৪ হাজার টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে চেকে পরিশোধ করেন। আর বাকি তিন কোটি সাত লাখ ৪৬ হাজার নগদে পরিশোধ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। ডিআইজি হিসেবে এর আগে সর্বশেষ রাজশাহীতে ছিলেন।