অভিনেতা টেলি সামাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Looks like you've blocked notifications!

বাংলা চলচ্চিত্রের অত্যন্ত শক্তিশালী ও জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ। গত বছর আজকের দিনে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। আজ তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও এলাকায় টেলি সামাদ জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। সোহেলা সামাদ কাকলী ও দিগন্ত সামাদ নামে তাঁর দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। টেলি সামাদের আসল নাম আবদুস সামাদ। তবে দর্শকদের কাছে ‘টেলি সামাদ’ নামেই তিনি অধিক পরিচিত।

১৯৭৩ সালে পরিচালক নজরুল ইসলামের ‘কার বউ’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। চার দশকে প্রায় ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। টেলি সামাদ শেষ কাজ করেছেন অনিমেষ আইচের ‘জিরো ডিগ্রি’ ছবিতে। তিনি দর্শকদের কাছে ‘পায়ে চলার পথ’ ছবির মাধ্যমে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পান। অভিনয়ের বাইরে অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রে তিনি গান গেয়েছেন।

গত শতকের সত্তরের দশক থেকে টেলি সামাদকে পর্দায় দেখেছেন দর্শকরা। অসংখ্য চলচ্চিত্র ও নাটকে নানা ধরনের চরিত্রে তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কেটে আছে দারুণভাবে। নিজের অভিনয়শৈলী দিয়ে দর্শকদের বিনোদন ও হাসিতে সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখেন টেলি সামাদ। একসময় কৌতুক অভিনেতা বললেই চলে আসত তাঁর নাম। সমানতালে অভিনয় করেছেন সিনেমায়, টেলিভিশনে। পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা।

তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে, ‘ভাত দে’, ‘রঙিন রূপবান’, ‘নতুন বউ’, ‘মাটির ঘর’, ‘নাগরদোলা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, অশিক্ষিত, কালা, জয় পরাজয়, গুন্ডা, জব্বার, সুজন সখী, চাষীর মেয়ে, কুমারী মা, সাথী হারা নাগিন, মায়ের চোখ, আমার স্বপ্ন আমার সংসার, রিকশাওয়ালার ছেলে, মন বসে না পড়ার টেবিলে, কাজের মানুষ, মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি, কে আমি, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, মিস লোলিতা ও জিরো ডিগ্রী।