সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলায় মামলা

অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে পুন:তদন্তের প্রতিবেদন ১৯ এপ্রিল

Looks like you've blocked notifications!

সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলার অভিযোগ এনে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মানহানির মামলার পুনঃতদন্তের জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান এ আদেশ দেন।

মামলার বাদী মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আজ আদালতে এ মামলার পুনঃতদন্তের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন না আসায় বিচারক নতুন দিন নির্ধারণ করেন। 

এর আগে গত ২ অক্টোবর সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলার অভিযোগের সত্যতা পায়নি বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাহাবুবুর রহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ এপ্রিল প্রেস ক্লাবে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু-৩৬৫’-এর উদ্বোধনকালে মিডিয়াকর্মীসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেলিব্রেটি ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষের উপস্থিতিতে শমী কায়সারের দুটি ফোন হারিয়ে যায়। এতে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন দুটি উদ্ধারের লক্ষ্যে ওই স্থানে আগত কিছু সংখ্যক লোককে চেক করার জন্য তাঁর সহকর্মীদের বললেও তারা কাউকে চেক করেনি। কিন্তু শমী কায়সারের কথায় ওই স্থানে উপস্থিত কতিপয় সংবাদকর্মী তাঁদের ‘চোর’ সম্বোধন করা হয়েছে মর্মে ভুল বুঝেছেন। পরবর্তী সময়ে শমী কায়সার ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন, যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তারপরও বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সার্বিক তদন্তে বিবাদী শমী কায়সার কর্তৃক বাদীর মানহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি মর্মে প্রকাশ পায়।

এর পরে গত ২৪ অক্টোবর আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলে মামলার বাদী এ বিষয়ে নারাজি দেবেন বলে আদালতকে জানান। এরপরে আদালত মামলাটি শুনানির জন্যগত ২৫ নভেম্বর মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান গত ৩০ এপ্রিল বাদী হয়ে ঢাকার চিফ এডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। বাদী স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির সম্পাদক।

মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু৩৬৫’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন শমী কায়সার। তিনি ই-ক্যাবের সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে শমী কায়সার জানান, তাঁর মোবাইল ফোন দুটি খুঁজে পাচ্ছেন না। এতে উপস্থিত অর্ধশতাধিক সাংবাদিক হতভম্ব হয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা মিলনায়তনের মূল গেট বন্ধ করে দেন। শমী কায়সার উপস্থিত সবার দেহ তল্লাশি করার কথা বললে সাংবাদিকরা তাতে সম্মতি দেন। দেহ তল্লাশি শেষে সাংবাদিকরা বের হতে চাইলে শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। এতে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকরা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করার উদ্যোগ নেন। এতে দেখা যায়, অনুষ্ঠানের লাইটিংয়ের দায়িত্ব পালনকারী এক কর্মী মোবাইল দুটি নিয়ে বের হয়ে যান।

এ ঘটনায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে বাদী গত ২৭ এপ্রিল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করতে চাইলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের পরামর্শ দেন।