অর্থ নয়, দক্ষ জনবলের সংকট : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
এখন অর্থের কোনো সংকট নেই, দক্ষ জনবলটাই আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ বৃহস্পতিবার এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরাম-এফইআরবি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, এনার্জি সিকিউরিটি এবং আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন নসরুল হামিদ। সেমিনারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ চিশতি, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালেক সুফি, ইফিআরবি চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকারসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এ সেমিনারে বক্তব্য দেন।
‘বঙ্গবন্ধু : জ্বালানি নিরাপত্তা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক মোল্লা আমজাদ।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দক্ষ লোকের প্রয়োজন। জাতির জনক সেই সময়ে রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ট্রেনিং করতে পাঠিয়েছিলেন অনেককে। এখনো তারাই বিভিন্ন সেক্টর পরিচালনা করছেন। মুজিববর্ষেই সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। অনেকে সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেন। আগে সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে যেত মা-বোনরা। এখন রাত ৯টা পর্যন্ত কাঁথা সেলাই করেন।’
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ‘যেখানে ১১ ঘণ্টাও লোডশেডিং হতো। এখন আমরা জেনারেটর আইপিএসের ব্যবসা উঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে বিদ্যুতের কারণে।’
কয়লা উত্তোলনে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাবের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রথম হচ্ছে মানুষ ও পরিবেশ। আমরা এলএনজি আমদানি করছি, এটা নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। আমাদের গ্যাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। শিল্প বাড়ছে সেখানে গ্যাস দিতে হবে। হ্যাঁ, দুর্নীতি কমাতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার যত বাড়বে দুর্নীতি তত কমে আসবে। যে দেশ যত প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে, সেই দেশ দ্রুত এগিয়ে গেছে। আমরা আগে ইসিএ ফাইন্যান্সিং পাওয়ার প্লান্ট করেছি, এখন নিজেদের অর্থে করছি। নিজেদের অর্থে এলএনজি আমদানি করছি। আগে তেল আসার পর বড় জাহাজ থেকে খালাশ করতে ১২ দিন লাগত। এখন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তেল আসবে।’