অর্ধেক জনবল নিয়ে চলবে অফিস-আদালত, শিগগিরই কার্যকর : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে শুক্রবার সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি : এনটিভি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে চলবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির তা কার্যকর করা হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আজ শুক্রবার সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি মানুষ আসতে পারবে না। হাসপাতালে যে অবস্থা হচ্ছে, আমরা মনে করি এটা আশঙ্কাজনক।’

জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে যে, বইমেলা কীভাবে পরিচালিত হবে। পর্যটন কেন্দ্রেও বিধিনিষেধ থাকবে। যদি হোটেলে যেতে হয়, রেস্তোরাঁয় যেতে হয়, টিকার সনদ ও টেস্টের সনদ নিয়েই যেতে হবে। অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস-আদালত কাজ করবে।’

এরই মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজসহ সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না বলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. সাবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আজ শুক্রবার এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলো হলো :

১. ২১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৩. সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে, তাদের অব্যশই টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।

৪. সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাগুলোতে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবে।

৫. বাজার/শপিংমল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরনের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

এসব বিষয় স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।