তথ্যমন্ত্রী বললেন

অশোভন বক্তব্য দিলে আ.লীগ ব্যবস্থা নেয়, বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা করে

Looks like you've blocked notifications!
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফেডারেশন (বাসককফ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ছবি : সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কেউ অশোভন বক্তব্য দিলে তার বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিন্তু বিএনপি তাদের নেতাদের অশোভন বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না, বরং পৃষ্ঠপোষকতা করে।’

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফেডারেশন (বাসককফ) আয়োজিত শিশু-কিশোরদের রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ‘তারুণ্যের তর্জনী’র পুরস্কার বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য শাহজাহান খান, সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ার হোসেন খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা ইন্টারনেটে দেখেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইশরাক হোসেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকের অশোভন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য বিষয়ে বিএনপি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কাউকে বিবৃতি দিতে দেখিনি। সরকারি দলের কেউ বললে অবশ্যই প্রতিবাদ হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে আমাদের সরকার কিংবা দল যে কাউকে ছাড় দেয় না সেই প্রমাণ সবাই পেয়েছে। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে সবাই কেন নিশ্চুপ- সেটিই আমার প্রশ্ন।’

‘বিএনপির তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের নেতারা এই অনাচারগুলো করছে’- উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এম এ মালেক ইউকে থেকে যে ভাষায় বক্তব্য দেন এরপরও কি তার দলীয় পদ থাকা উচিত ছিল? সেগুলো এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যায়। তাকে তো দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তার অর্থ যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে ও নোংরা কথাবার্তা বলে, বিএনপি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। তাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলব, আয়নায় নিজের দিকে তাকানোর জন্য, নিজের গায়ে দুর্গন্ধ মেখে অপরের দুর্গন্ধ খোঁজা উচিত না।’

ড. হাছান আরও বলেন, ‘আমার দায়িত্বাধীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ডা. মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য, কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে এবং যেহেতু সেগুলো সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, তাঁকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় পদ থেকেও বহিষ্কার করেছে। তাঁর কিছু বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন এবং বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতারাও বক্তব্য রেখেছেন। সেই বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই কারণ কেউ অন্যায় করলে অবশ্যই প্রতিবাদ হয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি নারীনেত্রীরা যারা মুরাদ হাসানের ক্ষেত্রে সোচ্চার হয়েছেন, তাদেরকেও বিএনপির অশোভন বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখিনি।’

তথ্যমন্ত্রী এ সময় সরকারি কর্মচারীদের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, সরকারি কর্মপরিচালনায় তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

বাসককফ সভাপতি হেদায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লুৎফর রহমান খান ও অন্যান্য নেতাদের বক্তৃতা শেষে অতিথিরা বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন একযোগে দেশের ৬৪টি জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেয়।

নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ, উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য রচনা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবন্ধ লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত এবং অবসরপ্রাপ্তদের সন্তানরা এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ ছাড়া ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। আজ কেন্দ্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশসেরা ১০০ বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।