অসাধুরা দ্রব্যমূল্যের অহেতুক সংকট সৃষ্টি করেছে : নাসিম

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ১৪ দলের সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। ছবি : এনটিভি

এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের বাজারে অহেতুক সংকট সৃষ্টি করে চাল ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করছে। এদের চিহ্ণিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শেষে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।

এ সময় পেঁয়াজের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, ‘এক শ্রেণির ব্যবসায়ী মানুষের ক্ষুধা নিয়ে মুনাফা করছে। এই সমস্ত চিহ্নিত ব্যবসায়ী যারা গুদামে পেঁয়াজ রেখে পচিয়েছে, এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এমনটা করার সাহস কেউ না পায়। অহেতুক সংকট সৃষ্টি করে সরকার উৎখাতের নানা ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে। সবাই তৎপর হলেই এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

‘আমাদের যেটা উদ্বেগ, পেঁয়াজের মজুদ যেখানে আছে, সেখানে কী কারণে দাম বাড়ানো হলো। এখন যখন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে তখন রাতারাতি দাম কমে যাচ্ছে। পঁচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, শুনানো হচ্ছে, তার মানে কী, এরা চিহ্নিত ব্যক্তি। অশুভ একটি মহল যারা মানুষের ক্ষুধাকে কেন্দ্র করে অতীতেও চক্রান্ত করেছে, এখনো করছে। এই সমস্ত চিহ্নিত ব্যবসায়ী যারা গুদামে পেঁয়াজ রেখে পঁচিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করা হবে। কারা পানিতে ফেলেছিল, এদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’   

বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘যারা মাঠের রাজনীতিতে পরাজিত হয়েছে, নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে, তাদের এখন উদ্দেশ্যেই হলো কোনোভাবে মানুষের ক্ষুধা নিয়ে রাজনীতি করে যাতে এই সরকারকে বেকায়দায় ফেলানো যায়। কারণ বিএনপি-জামায়াত করতে পারে না, এমন কাজ এ দেশে নেই।’

ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘গত এক মাসেও কেউ কথা বলতে পারেনি। হঠাৎ করে দেখলাম তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। আমরা সংসদে পাঁচদিন ছিলাম, উনারাও ছিলেন, কিন্তু সেখানে একটি উক্তিও করলেন না। এখন তো কোনো ইস্যু নেই। একটা নিউজ করার জন্য এই কথা বলেছেন। এই নিউজ করা হচ্ছে বিএনপির একটা অভ্যাস। অনেক ইস্যুই আপনারা হারিয়েছেন। ব্যর্থ হয়েছেন ইস্যু তৈরি করতে। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাই হোক দেশবিরোধী কোনো কাজ তিনি করেননি।’

সভার সভাপতি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, নির্বাচিত সরকার উৎখাতের আলোচনা কেবল শব্দ দূষণ। চিহ্নিত মুনাফাখোরদের শুদ্ধি অভিযানের আওতায় এনে ধ্বংস করতে হবে।  বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারি কর্তৃপক্ষের নজরদারি জোরদার করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।