অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম : শিক্ষামন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
আজ শুক্রবার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি : সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির আয়োজনে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।  

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হাজার হাজার বছর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিতে বসবাস করে আসছে। এ ভূখণ্ডে বিভিন্ন সময়ে নানান ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ এসেছে এবং সবাই তাদের নিজ নিজ ধর্ম নিজস্বভাবে পালন করেছে। এ সব কাজে একে অপরের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশে আমরা দেখেছি এক সময় ধর্মের নামে অত্যাচার ও নির্যাতন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। 

দীপু মনি আরও বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ মানে ধর্মহীনতা নয়, ধর্মনিরপেক্ষ মানে যার যার ধর্ম ও উৎসব সে সে স্বাধীনভাবে পালন করবে। এখানে কেউ কাউকে ধর্ম প্রচার, উৎসব কিংবা ধর্ম পালনে বাধাগ্রস্ত করবে না।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সমন্বয়ক আখলাকুর রহমান মাইনুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, আমেনা নুর ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আহম্মদ আল জামান।

অনুষ্ঠান শেষে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ও ধর্মীয়প্রতিষ্ঠানের নেতাদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দেওয়া হয়।