অস্থির পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তিন উদ্যোগ

Looks like you've blocked notifications!
দেশের বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে একাধিক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফাইল ছবি

ভারতের রপ্তানি বন্ধ করার একদিনের মাথায় দেশে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম অন্তত ২০ টাকা বেড়ে গেছে। হঠাৎ করে অস্থির হয়ে ওঠা পেঁয়াজের বাজারদর নিয়ে চিন্তিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাজার নিয়ন্ত্রণে বিকল্প তিন পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছে মন্ত্রণালয়। এমনটিই জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দ্রুতগতিতে বিকল্প বাজার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা, টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির আওতা বাড়ানো এবং বাজার মনিটরিং জোরদার করা। এ তিনটি পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এখন এগোচ্ছি।’

চলতি মাসের শুরুর দিকেও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ টাকা। গত সপ্তাহে ধীরে ধীরে তা বেড়ে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায় দাঁড়ায়। গতকাল বিকেলে ভারত কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে।

ভারতের এ ঘোষণায় হতভম্ব দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। চিন্তিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গত বছরও ভারত হঠাৎ করেই কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়া বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে আমাদের তিনটি নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হচ্ছে।’

দ্রুত রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘দাম স্বাভাবিক রাখতে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে।’

পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিসিবি বড় পরিসরে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ন্যায্যমূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। অন্যদিকে আমদানির উদ্যোগও নিয়েছি। এতে করে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘গত বছরও ভারত আমাদের দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এতে আমাদের এখানকার ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছিল। ভারত গতবার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় আমরা বিকল্প বাজার থেকে আমদানি করেছি। এটি আমাদের জন্য ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। এতে আমরা বিকল্প বাজার পেয়েছি। তুরস্ক, মিসর ও ইন্দোনেশিয়া থেকে গতবার পেঁয়াজ আসার কারণে এবারও আমাদের লোকজনের যোগাযোগ ভালো আছে। আমরা তুরস্ক থেকে আমদানির জন্য টেন্ডারও করেছি টিসিবির মাধ্যমে। পেঁয়াজ আমদানিতে ট্যাক্স কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি।’

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি শাখার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, গত বছরও সেপ্টেম্বরে ভারত কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে পেঁয়াজের কেজি ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। ভারতের এমন আচরণে গভীর বিস্ময় প্রকাশ করেন ওই কর্মকর্তা।