অ্যাটর্নি জেনারেলের পরিবর্তে মনসুরুল হককে আ.লীগের উপকমিটিতে অন্তর্ভুক্ত
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিনকে যেকোনো একটি পদ থেকে পদত্যাগ বা বাদ দেওয়ার দাবি জানায় বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটিতে নিয়োগ করায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয় যে, একটি সাংবিধানিক পদের অধিকারীকে দলীয় পদে নিযুক্ত করা দেশের ইতিহাসে একটি নতুন ঘটনা এবং নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার কার্যালয়কে নগ্ন দলীয়করণের অপচেষ্টা ও একটি অত্যন্ত মন্দ দৃষ্টান্ত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বিএনপি দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার পদের নিরপেক্ষতা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলের উচিত, হয় দলীয় পদ কিংবা অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করা। যারা তাকে নিয়োগ দিয়েছে তাদেরও উচিত অনৈতিক এই বিষয়টির গুরুত্ব ও জনমনে এর অনিবার্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে দলের উপকমিটি থেকে অবিলম্বে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বাদ দেওয়া।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটিতে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নয়, সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী ও একজন আইনজ্ঞ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের বিভাগীয় উপকমিটিগুলোতে কিছু বিশেষজ্ঞ সদস্য রাখার বিধান রয়েছে। এই ধরনের বিশেষজ্ঞ সদস্য দলের প্রাথমিক সদস্য নাও হতে পারেন। উপকমিটিতে বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে আমরা দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন, বিধি-বিধান ও প্রথা অনুসরণ করেছি। এতে আইন ও প্রচলিত প্রথার কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।
আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেকে এ বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপকমিটিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল পদ নিয়েও তারা সংবিধান ও আইনের সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন এবং মনগড়া কথা বলছেন, যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটিকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা এবং জনমানসে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ নিয়েও যাতে বিতর্কের সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিনের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’