আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গত রোববার সন্ধ্যায় দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) আয়োজনে বিশেষ আলোচনা সভা হয়। ইনস্টিটিউটের রুহুল কুদ্দুস অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠান হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব জাবিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক রুখসানা রশীদ এফসিএমএ। গেস্ট অব অনার হিসেবে এ কে কাশেম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের পার্টনার আক্তার সানজিদা কাশেম এফসিএ, এফসিএমএ এবং কে কে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং উপদেষ্টা এশা মাহিন উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা সবাইকে  মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তাঁর মন্ত্রণালয় এই বিশেষ বছরের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সবার আগে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং কাজ করার মাধ্যমে নারীদের কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতায়নের সুযোগ সৃষ্টিতে সচেষ্ট রয়েছে বলেও তিনি অবহিত করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা নিশ্চিত করবে। এই সরকার সব সময়েই নারীবান্ধব বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ রয়েছে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, মুজিববর্ষে ৫০ লাখ নারীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত ও এক লাখ নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা হবে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার যেভাবে নারীর ক্ষমতায়নে সচেষ্ট ছিলেন, বর্তমান সরকার সেই নীতিতে অবিচল রয়েছে। তিনি আরো জানান, দেশের সব জেলায় কর্মজীবী নারীদের নিরাপত্তা ও কাজ সুসংহত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল স্থাপন করবে।

আইসিএমএবির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন আকন্দ এফসিএমএ ইনস্টিটিউটের সার্বিক পরিচয় তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং সিএমএ পেশার সার্বিক উন্নয়ন এবং প্রসারের জন্য তাঁকে ও তাঁর মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএমএবির সহসভাপতি মো. মামুনুর রশীদ এফসিএমএ এবং ধন্যবাদ জানান ইনস্টিটিউটের সচিব মো. মনিরুল ইসলাম এফসিএমএ। সাবেক সভাপতি ও কাউন্সিল সদস্য এ কে এম দেলোয়ার হোসেন এফসিএমএ প্রতিমন্ত্রীর অসাধারণ রাজনৈতিক জীবন ও প্রজ্ঞার প্রশংসা করেন এবং সিএমএ পেশার উন্নয়ন ও প্রসারে তাঁর কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।

কাউন্সিল সদস্য, সাবেক সভাপতি, সদস্য, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে আগত সংবাদকর্মীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।