আওয়ামী লীগে আছি এবং থাকব : কাদের মির্জা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করায় পুনরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবেই আমার পদ পুনরায় বহাল রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কারাদেশসহ দলীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে তা আমি মেনে নেব।
সম্প্রতি দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে কাদের মির্জা বলেন, দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি।
আজ রোববার বিকেলে বসুরহাট পৌর হল রুমে আয়োজিত এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি পদত্যাগপত্র কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার পদত্যাগ গ্রহণ করেননি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে। তাই আমি আওয়ামী লীগে আছি এবং থাকব।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আওয়ামী লীগে থাকব। যারা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে ভালোবাসেন; তাদের নীতি আদর্শ অনুসরণ করেন তারাই প্রকৃত আওয়ামী লীগ।’
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে বারবার অপরাজনীতির বিষয়ে বেশ কয়েকটি দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন আবদুল কাদের মির্জা। গত ৩১ মার্চ আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমার ও আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর প্রশাসনিক হয়রানি ও নিপীড়নের প্রতিবাদে, ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে নানাভাবে আমার নির্যাতনের শিকার হওয়ার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছি।’
এর আগে আজ মেয়র আবদুল কাদের মির্জা গ্রুপ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ একই সময়ে পাশাপাশি জায়গায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করার ঘোষণা দেন। দুইগ্রুপের এ ঘোষণায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নেয়। পরে মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তবে আবদুল কাদের মির্জা গ্রুপ বিকেল ৩টায় বসুরহাট পৌর হল রুমে পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে।
পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুটি গ্রুপের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে বিকেলে শান্তিপূর্ণভাবে আবদুল কাদের মির্জার ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযুদ্ধা আবু নাসেরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তাশিক মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমা শিপা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আবুল খায়ের, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন প্রমুখ।