সংসদে হারুন অর রশিদ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেয়ারবাজার একেবারে শুয়ে গেছে

Looks like you've blocked notifications!
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ আজ সোমবার জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেন। ছবি : সংসদ টেলিভিশন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেয়ারবাজার একেবারে শুয়ে গেছে। দেশের ব্যাংকগুলো পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতির এই অবস্থা যদি কমাতে না পারেন তাহলে ভয়ানক অবস্থা হবে। 

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট পাসের প্রস্তাবের ওপর আনিত মঞ্জুরি দাবি সম্পর্কিত ছাটাই প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশীদ এসব কথা বলেন।

হারুনুর রশীদ বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন, অপ্রদর্শিত কালো টাকা যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে, ততক্ষণ প্রদর্শন করার সুযোগ দেব—এটা প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা দুর্নীতির বিরুদ্ধে (জিরো টলারেন্স) তার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। এ রকম চলতে পারে না।

বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘অপ্রদর্শিত অর্থ আর কালো টাকা এক নয়’—এ কথার সঙ্গে আমি একমত। অপ্রদর্শিত অর্থ, ঘরবাড়ি, জমি বিক্রি করা টাকা, যেগুলো বৈধ, সেগুলো বৈধ করার সুযোগ দিন। কিন্তু দুর্নীতির মাধ্যমে, মাদকের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যদি কেউ সম্পদ গড়ে তোলে, তাকে যদি সুযোগ দেন তাহলে যারা ন্যায়ের পথে চলছে, সৎ পথে চলছে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে।

হারুনুর রশীদ আরও বলেন, একদিকে মাতারবাড়ি, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবেন, আর অন্যদিকে গাছ লাগাবেন এটা হয় না। পরিবেশের আরও বিপর্যয় ঘটবে। সারা পৃথিবীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, আর আপনি এদিকে বলছেন গাছ লাগাও।

বিএনপি এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে করোনা নিয়ন্ত্রণে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাত হচ্ছে পোশাক শিল্প আর প্রবাসী আয়। করোনাকাল যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে এই খাত দুটি এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা কল্পনাও করা যায় না। পোশাক শিল্পের বায়াররা দেশে আসতে পারবে না, প্রবাসীরা বিদেশে যেতে পারবেন না। প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা আয় যদি নিচে নেমে আসে তাহলে আমরা আবার ভয়ানক একটা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ব। তা ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা খুবই বেহাল দশা। প্রতি বছর লাখ লাখ কোটি টাকা ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিচ্ছে, এতে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকলাঙ্গ হয়ে যাচ্ছে।