আগামী মাসে পিটিএ সই করবে ঢাকা-থিম্পু : ভুটানের রাষ্ট্রদূত

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে ভুটান আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর করবে। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল বলেন, ‘আগামী মাসে পিটিএ স্বাক্ষর করার জন্য এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।

বাংলাদেশি পোশাক ভুটানে খুব জনপ্রিয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ কেবল আমাদের বন্ধু নয়, এটি আমাদের বাণিজ্যিক অংশীদারও।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তববাদী নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন যে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি জোরালোভাবে বাড়ছে।

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে বেশ কিছু ভুটানিজ শিক্ষার্থী, বিশেষত মেডিকেল শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভুটানের আর্থ-সামাজিক ও মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেন রিনচেন কুয়েন্টসিল।

দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি ঢাকায় থাকাকালে এ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী ভুটানকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন যে ১৯৭১ সালে ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

ভুটান সফরের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুটি দেশের মধ্যে ‘দুর্দান্ত সম্পর্ক’ রয়েছে এবং উভয় দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সহযোগিতা আগামী দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অব্যাহত থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশের সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের মতো বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরগুলো ব্যবহার করতে পারে ভুটান।

করোনাভাইরাস নিয়ে আলাপকালে ভুটানের রাষ্ট্রদূত জানান যে এখন পর্যন্ত তাদের দেশে ৩৫৩ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, কিন্তু কেউ মারা যাননি।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোধে প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি তাঁর দলের নেতা-কর্মীসহ সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ একসঙ্গে কাজ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁর সরকার কৃষিখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।