আঙুলের ছাপ দিয়ে ধরা পড়লেন রোহিঙ্গা নারী

Looks like you've blocked notifications!
মানিকগঞ্জে পাসপোর্ট করতে এসে আটক রোহিঙ্গা নারী আসমা। ছবি : এনটিভি

মানিকগঞ্জে পাসপোর্ট করতে এসে আটক হলেন রোহিঙ্গা নারী।  সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা জান্নাত আক্তারের ভোটার আইডি ব্যবহার করেন ওই নারী।

আজ বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আঙুলের ছাপ দেওয়ার সময় রোহিঙ্গা তালিকায় তাঁর নাম ও ছবি উঠলে তিনি ধরা পড়েন। পরে তাঁকে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাকসুদুর রহমান জানান, দুপুর ১২টর দিকে সাটুরিয়া উপজেলার রেজাউল করিমের স্ত্রী পরিচয়ে পাসপোর্ট করাতে আসেন ওই রোহিঙ্গা নারী। তিনি সাটুরিয়ার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বেংরোয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে জান্নাত আক্তার, জন্ম তারিখ ১০ জুন ২০০০, দেখিয়ে একটি নাগরিক সনদ নিয়ে পাসপোর্ট ফরম দাখিল করেন। এ সময় ওই নারীর কথা বার্তায় সন্দেহ হলে  তিনি তাৎক্ষণিকভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবন্ধিত সার্ভার ঘেটে নিশ্চিত হন যে, তিনি প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গা নারী। তাঁর নাম আসমা। বাবা সিরাজুল হক। রোহিঙ্গা নিবন্ধন নম্বর ১৪৩২০১৭১২১৩১৫৪৪১৫। তাঁর জন্ম তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০০১। আসমা ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর কক্সবাজারের  টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিবন্ধিত হন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গা ওই নারী দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রাম থেকে রেজাউল করিমের সাভারের বাসায় যান। আজ ওই রোহিঙ্গা নারীসহ রেজাউল তাঁর প্রকৃত স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তানসহ মানিকগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে যান। এই কাজে সহযোগিতার অপরাধে রেজাউল করিম ও পাসপোর্ট ফরমে স্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে সত্যায়ন করার অপরাধে  মানিকগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী মো. মনোয়ার হোসাইনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

নিজের পরিচয় আড়াল করে অন্যের পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট করার অপরাধে প্রচলিত আইনে ওই রোহিঙ্গা নারীর বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার আমিদুর রহমান সিদ্দিকী।