আজ রাত থেকে ঢাবি এলাকার মেস-হোটেলে চলবে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকার মেস, হোটেলে তল্লাশি চালাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ শনিবার রাত থেকেই শুরু হবে এ অভিযান। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে চলবে এ তল্লাশি অভিযান।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ডিএমপির কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
ডিএমপির কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে যেসব মেস, আবাসিক হোটেল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে, সে স্থানগুলোতে আমরা আজ রাত থেকে তল্লাশি শুরু করব। কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন সেখানে অবস্থান নিয়ে নাশকতামূলক কাজ করতে না পারে, সেজন্য এ তল্লাশি অভিযান চলবে।’
মোহা. শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রাতের প্রথম প্রহরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অথবা তাঁদের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এখন পর্যন্ত এটা নিশ্চিত নয় যে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আসবেন কি না। তবে তাঁরা আসবেন, সেটা ধরে নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘তাঁরা চলে যাওয়ার পর অথবা তাঁদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে মাননীয় স্পিকারসহ সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের জন্য আমরা শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করে দেব। এ পুরো কাজ শেষ করতে ৩০ মিনিট লাগবে বলে আমরা ধরে নিচ্ছি। এরপর সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।’
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ মিনার কেন্দ্রিক চারিদিকে যে রাস্তাগুলো আছে, সব রাস্তায় পুলিশের আলাদা চেকপোস্ট থাকে। এই চেকপোস্টের ভেতরে এবং বাইরে, প্রত্যেকটি এলাকা সিসি ক্যামেরার অধীনে থাকে। পলাশী ক্রস করে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আমাদের যে শ্রদ্ধেয় নাগরিকেরা আসেন, আমাদের তাঁদের নিরাপত্তা তল্লাশির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে শহীদ মিনারের দিকে ঢুকতে দিই। সেখানে প্রচুর আর্চওয়ে থাকে, হ্যান্ড মেটার থাকে। এ পরীক্ষাগুলো করে আমরা ঢুকতে দেব।’
কোভিডের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের আসার সময় ব্যাগ না আনতে অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মোবাইল ফোনটি রাখার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। যেহেতু শতশত মানুষ লাইনেই থাকেন, ফলে কে চোর—এটা আমাদের পক্ষে বোঝা খুব কঠিন।’