আত্মীয়র বাড়িতে পালানোর জন্য ছাতক গিয়েছিলেন সাইফুর

Looks like you've blocked notifications!
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে আজ রোববার সকালে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জের ছাতক থানার পুলিশ। ছবি : এনটিভি

সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে দুঃসম্পর্কের এক আত্মীয়র বাসায় পালানোর জন্য যাচ্ছিলেন।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছাতকের নোয়ারাই খেয়াঘাট এলাকা থেকে সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশের কাছে এমন দাবি করেছেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল, সাইফুর রহমান ছাতক থানা এলাকায় আসবেন। পরে থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সর্বশেষে তাঁকে ছাতক খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর সাইফুর রহমান দাবি করেছিলেন, তিনি ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের এক দুঃসম্পর্কের আত্মীয়র বাড়িতে পালানোর জন্য যাচ্ছিলেন। যেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখান থেকে পানিপথে ইসলামপুর ইউনিয়নে যেতে হয়। আর নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে ভারত সীমান্তের দুরত্ব কয়েক কিলোমিটার।’

ছাতক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বিল্লাল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে আমরা গতকাল রাতে জানতে পারি, সাইফুর রহমান এদিকে আসবেন। সকালেও আমরা তাঁর আসার তথ্য জানতে পারি। সেজন্য আমার নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ, একজন এসআই এবং একজন এএসআই অভিযান পরিচালনা করছিলাম। আমরা আসামিকে ধরার পর প্রথমে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হই। তারপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে আমরা তাঁকে হস্তান্তর করি।’

বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে সাইফুর রহমান দাঁড়ি কেটে ক্লিন সেভ করেছিলেন। আমরা যখন তাঁকে গ্রেপ্তার করি তখন তাঁর পরনে ছিল টি-শার্ট ও প্যান্ট। ছিল একটি জ্যাকেটও। তিনি নিজেকে গোপন রাখার জন্য বেশ পরিবর্তন করেছিলেন।’