আদালতে সম্পন্ন হলো বিয়ে। এরপর পর জামিন পেলেন ধর্ষণ মামলার আসামি। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ আদালতে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এসময় তাদের দুই বছরের শিশু সন্তান উপস্থিতি ছিল।

এর আগে আসামিপক্ষের আইনজীবী আসামি ও ভুক্তভোগীর বিয়ে আদালতে সম্পন্ন করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। এরপর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম তা মঞ্জুর করেন। পরে কাজী এই বিয়ে পড়ান।

আসামিকে তাঁর বাবা ও মামলার বাদীর জিম্মায় পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া বাদীকে তাঁর বাবার জিম্মায় পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ভুক্তভোগী তরুণী ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আসামির বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ নেন। কাজ শুরুর কিছুদিন পর থেকে আসামি ভুক্তভোগী তরুণীকে কুপ্রস্তাব প্রস্তাব দেন। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সে অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেকআপ করে জানতে পারে, সে দুই মাসের গর্ভবতী।

এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ভুক্তভোগী তরুণী ভিকটিম সেন্টারে ছেলে সন্তান জন্ম দেন। তার বয়স এখন দুই বছর।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহেদ মিয়া বলেন, ‘আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর আদালতে তাদের বিয়ে হয়। এ ছাড়া আপসের শর্তে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যে পারিবারিকভাবে আপস হয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাদের বিয়ে হয়েছে।’