আদালতে রামু থানার ওসির ক্ষমা প্রার্থনা

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ভিডিওচিত্র নির্মাণের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় থানা থেকে দুটি জব্দ তালিকা পাঠানোয় আদালতের কাছে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেনের আদালতে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করে আদালতের কাছে নি:শর্ত ক্ষমা চান ওসি।
তবে তাৎক্ষণিক এ সংক্রান্ত কোনো আদেশ দেয়নি আদালত।
গত ৩১ আগস্ট রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। এ ঘটনার পর সিনহা যে কটেজে থাকতেন সেই হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে শিপ্রা দেবনাথকে গ্রেপ্তার করে রামুর হিমছড়ির ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এ মামলায় সেই কটেজ থেকে উদ্ধার করা মালামালের একটি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেয় রামু থানা পুলিশ। কিন্তু শিপ্রা দেবনাথের ল্যাপটপ, মোবাইলসহ ২৯ ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস জব্দ তালিকায় আনা হয়নি।
পরে এসব মালামালের আরেকটি জব্দ তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত ২০ আগস্ট রামু থানার ওসি মো. আবুল খায়েরকে উপস্থিত হয়ে সাত কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে আদেশ দেন আদালত।
পরে আদালতের আদেশে রামু থানায় সংরক্ষিত ২৯ রকম মালামাল মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের কাছে হস্তান্তর করে রামু থানা পুলিশ।