আদালত বদলির আবেদন খারিজ, বরগুনায় হবে মিন্নির বিচার
রিফাত শরীফ হত্যা মামলা বরগুনা থেকে ঢাকার আদালতে বদলি চেয়ে তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে বরগুনার আদালতে বিচার চলতে বাধা নেই। তবে এ আদেশের ফলে পরবর্তী সময়ে যেকোনো আদালতে নতুন আবেদন করা যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফআর খান।
পরে আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম বলেন, আদালত উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন। এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো আদালতে নতুন করে আবেদন করা যাবে।
এর আগে বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলা ঢাকার আদালতে বদলি চেয়ে আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আবেদনের শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
গত মঙ্গলবার শুনানিকালে মিন্নির আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘বিরতিহীনভাবে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন বরগুনার আদালত।’
এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘এভাবে সাক্ষ্য নিতে বাধা আছে কি?’
আইনজীবী বলেন, ‘বাধা নেই। তবে একটি মামলার ক্ষেত্রে এত তাড়াহুড়া কেন? যদি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হয় তাহলে দেশের সব মামলার ক্ষেত্রেই তা হতে হবে।’
আদালত বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট থেকে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সাক্ষী আদালতে হাজির হলে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করতে হবে।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান বলেন, ‘আবেদনকারী মিন্নি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষপর্যায়ে। আমি এখনো কোনো ডকুমেন্টস পাইনি। তাই আমার সময় প্রয়োজন।’ শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা থেকে ঢাকার আদালতে ট্রান্সফার (বদলি) চেয়ে তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আবেদন করেন।
গত বছরের ২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। বর্তমানে মামলাটি বরগুনার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।