আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি : কৃষিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয়  হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার বৈঠক। ছবি : কৃষিমন্ত্রণালয়

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাস, আন্দোলন, হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ করে বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগামী ১১ তারিখ না, আগামী ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যেও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১১ জানুয়ারি বিএনপি আন্দোলনের নামে যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগ তৎপর থাকবে। দলের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও সরকারকে সহযোগিতা করবে।’

দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বিদেশি বা রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপমূলক তৎপরতা অনেক কমে এসেছে। এক সময় হ্যারি কে. টমাসের মতো অনেক রাষ্ট্রদূতেরা এদেশে নিজেদের কিং বা রাজা মনে করত। এখন এই পরিস্থিতি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন ও আর্থিক অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ অনেক মর্যাদাশীল জাতি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের কাছে বিএনপির ধরনা দেওয়া বা হাতপাতা জাতির জন্য মর্যাদার নয়, এটিকে সহজভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’ 

এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের সময় দুদেশের কৃষি, কৃষিযন্ত্রপাতি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজিসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার কৃষিযন্ত্রে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। আগামীতে বাংলাদেশে প্রচুর কৃষিযন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ভারতের কৃষিযন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ফ্যক্টরি স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে।’