আন্দোলন দমনের জন্য মরিয়া সরকার : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
 ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিভাগীয় সমাবেশগুলোকে বন্ধের জন্য আন্দোলনকে দমনের জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। আক্রমণ করছে, গায়েবি মামলা দিচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, ঘরে ঘরে গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে।

আজ বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, চাল, ডাল, পানি, গ্যাসসহ সব জিনিসপত্র ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। জ্বালানি তেল ও পেট্রোলের দাম হু হু করে বাড়ছে। এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষেরা, ছাত্ররা, যুবকরা অকাতরে প্রাণ দিচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনগণ তাদের গণতন্ত্র ফিরে চায়। তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। বাঁচবার অধিকার ফিরে পেতে চায়। এ আন্দোলন সমগ্র জনগণের মুক্তির আন্দোলন।’

গত সাত দিনে ১৬৯টি মামলা হয়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘এ মামলাগুলোতে আসামি করা হয়েছে ছয় হাজার ৬২৩ জনকে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫ হাজারের ওপরে।’ তিনি বলেন, ‘কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটা কোন নিয়ম? সংবিধানে এমন কোনো নিয়ম নেই। অথচ পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। পুলিশ ও ডিবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে।’

২০১৩-১৪ ও ১৫ সালের উদাহরণ দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘সেই সময় তারা জনগণের আন্দোলন স্তব্ধ করতে চেয়েছিল। সেই ভঙ্গিমায় একইভাবে, একই কায়দায় ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’

আজ মানুষ জেগে উঠেছে বলে প্রতিটি বিভাগে গণসমাবেশ হচ্ছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গাড়ি বন্ধ করে, গুলি করে হত্যা করেছে, তবুও মানুষ গণসমাবেশে এসেছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই—আমরা একমাস আগে পার্টির তরফ থেকে বলে দিয়েছি যে, আমরা নয়া পল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করতে চাই। এর আগেও আটটি সমাবেশ হয়েছে, মহাসমাবেশ হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া এখানে সমাবেশ করেছেন। কোনো দিন সমস্যা হয়নি, সুতরাং ডিক্লিয়ার দিয়েছি সমাবেশ করব। সেটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আপনাদের।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আবার পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা জনগণকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করব। তাদের ভাত ও ভোটের অধিকার ফেরত দিতে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করছি। যে আন্দোলনে আপনারা অযথা অন্যায়-অত্যাচার করছেন, সেই কাজগুলো গণতন্ত্রের জন্য ভালো না। আপনাদের জন্য ভালো না, রাষ্ট্রের জন্য ভালো না।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেটে রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।