আপাতত মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নেই : ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কাজের গতির জন্য গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় একটা রদবদল হয়েছে। এ কারণে আপাতত মন্ত্রিসভায় আর কোনো বিন্যাস, পুনর্বিন্যাস ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নেই। নতুন করে বড় কোনো পরিবর্তন বা সম্প্রসারণ এ মুহূর্তে হয়তো হবে না।’
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শ ম রেজাউল করিম বেশ দক্ষতার সঙ্গেই তাঁর মন্ত্রণালয় চালাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে তাঁকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে দেওয়ায় তাঁর ডিমোশন হলো কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা প্রমোশন বা ডিমোশনের বিষয় নয়, মিনিস্টার মিনিস্টারই। প্রধানমন্ত্রী হয়তো মনে করেছেন কাজের গতি বা সুবিধার জন্য একজনকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাজে সুবিধা হবে। তাই তিনি রদবদল করেছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখন তাঁকে (শ ম রেজাউল করিম) যে মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে সেটা বিশ্বে এক্সপোর্টের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়কে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কাকে দিয়ে কোন মন্ত্রণালয়ে পারফরম্যান্স বেশি হবে সেটা প্রধানমন্ত্রীই ভালো বোঝেন। এটা বুঝেই প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করেছেন।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে পর্দার অন্তরালে কিছু হচ্ছে না। সবকিছুই ওপেন সিক্রেট। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপি কী করবে, তা তারাও দ্বিধান্বিত। তারা একবার বলে আন্দোলনে মুক্তি, আবার বলে মানবিক কারণে মুক্তি দিতে। আসলে তারা কী চায়, তা তারাও বোঝে কি না সন্দেহ।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাকে ফোন করে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা বলেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এ বিষয়ে এখনো কিছু বলেননি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিরোধী দলের মহাসচিব রুলিং পার্টির সেক্রেটারি জেনারেলকে ফোন করা অস্বাভাবিক নয়। এটা রাজনীতির একটা পার্ট। বিষয়টি ইতিবাচক।’