আবদুল মাজেদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি আওয়ামী লীগের
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাড়ে চার দশক পর গ্রেপ্তার ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সংবিধান ও প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, ফাঁসির রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ফাঁসির রায় কার্যকর করার কথা আইনে উল্লেখ আছে।
বাংলাদেশের সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনের সব বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় প্রদান করা হয়েছিল। বিচারিক আদালত প্রদত্ত ফাঁসির রায় হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিমকোর্টে গেলে সুপ্রিমকোর্ট ফাঁসির রায় বহাল রাখেন।
বিচারের সব পর্যায়ে নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং উভয় পক্ষের সম্পূর্ণ শুনানির মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী সর্বশেষে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউর আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন। এই খুনিদের ফাঁসির রায় সম্পূর্ণ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য আইনসঙ্গত ভাবে যা করার, সেটা শুরু হয়ে গেছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।’
আবদুল মাজেদের গ্রেপ্তারের পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আরো পাঁচ দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনি-রাশেদ চৌধুরী, নুর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল রশিদ ও মুসলেহউদ্দিন রিসালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা জোরদার করার দাবিও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এ জাতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়। পৈশাচিক ও নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি, একটি দল ও তার আদর্শকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা করা হয়নি বরং একটি সদ্য স্বাধীন জাতি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে গলা টিপে হত্যা করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল।