আবরার হত্যা : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাসেলের বাড়িতে সুনসান নীরবতা

Looks like you've blocked notifications!
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মেহেদী হাসান রাসেলের ফরিদপুরের সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গাবাড়ি গ্রামের বাড়ি। ইনসেটে রাসেল। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় ২০ আসামিকে মৃত্যু এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এদিকে, এই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের ফরিদপুরের সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গাবাড়ি গ্রামের বাড়ি এখন স্তব্ধ। সুনসান নিরবতায় রয়েছে বাড়ির পরিবেশ। তেমন কারো সঙ্গেই তারা কথা বলতে চাচ্ছে না। সেখানে তার বাবা, মা ও ছোট ভাই বসবাস করে।

রাসেলের বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাচ্ছি না এই বিচারের রায় নিয়ে। রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এতটুকু বলব আমার ছেলে সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। আমার স্ত্রী কীভাবে রয়েছে সেটা আপনি বুঝবেন যদি আপনার নিজের কোন ছেলে থেকে থাকে। আমি তাকে কথা বলতে মানা করে দিয়েছি। আমার দুই ছেলে, বড়টা রাসেল। সে ২০১৮ সালে বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ার) পাশ করেছিল। এরপর নিচের একপার্ট বাকি থাকাকালীন এ ঘটনা ঘটে।’

এ রায়ের পর আপিল করবেন কিনা, এ প্রশ্নে রাসেলের বাবা বলেন ‘এ মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না। সেটা পরবর্তী সময়ে বলতে পারব।’

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, ‘রাসেলের পরিবারের তিন সদস্য এখানে বাস করে। রাসেলের বাবা রুহুল আমিন একজন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। তার দুই ছেলে একজন রাসেল অপরজন আলামিন হাসান জিম। সে নবম শ্রেনির ছাত্র। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রাসেল পড়াশুনা করার জন্য ঢাকা থাকত। আমরা জানতাম রাসেল বুয়েটে পড়ে সে অনেক মেধাবী। রাসেল ছাড়া সবাই বাড়িতেই থাকত। রায় ঘোষণার দিনও তারা সবাই বাড়িতে অবস্থান করছে বলে আমি জানি।’

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আদালত যেটা সঠিক মনে করেছে সেই রায় ঘোষণা করেছে। এটা নিয়ে আসাসিপক্ষ যদি মনে করে রায় সঠিক হয়নি তাহলে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারে। তবে আমি বলব, এই জঘন্যতম ঘটনার যে বিচার দ্রুত সময়ে হয়েছে এই জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’