আমরণ অনশনে বশেমুরবিপ্রবির ১৩৪ কর্মচারী
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্র) দ্বিতীয় দিনও চলছে কর্মচারীদের আন্দোলন। ১৩৪ কর্মচারী তাঁদের চাকরি স্থায়ী করণের দাবিতে গতকাল বুধবার (১৭ মে) শুরু করেন এই আন্দোলন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন তাঁরা।
১৩৪ কর্মচারী গতকাল বিশ্ববিদ্যালেয়ের উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব, রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান ও ট্রেজারার ড. মোবারক হোসেনের দপ্তরে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির নেতারা এসে কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে উপাচার্যসহ অবরুদ্ধ থাকা সবাইকে মুক্ত করে নেন। এ সময় উপাচার্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে অফিস ত্যাগ করেন। পরে তাঁরা সেখানে অবস্থান নিয়ে সারা রাত কর্মসূচি পালন করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনকারীরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে দুপুর ১২টায় তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল কর্মচারী সমিতির নেতাদের হামলার প্রতিবাদ জানান এবং দাবি-দাওয়া তুলে ধরে আমরণ অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, ডক্টর খোন্দকার নাসির উদ্দিনের মেয়াদে বিভিন্ন কাজের জন্য দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫২ কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তাঁদের মধ্য থেকে ১৮ জনকে স্থায়ী করা হয়। বাকি ১৩৪ কর্মচারীও তাঁদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বর্তমান ভিসি এসব কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁর মেয়াদ দুই বছর আট মাস পার হলেও তা কার্যকর হয়নি। ফলে তাঁরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে তাঁদের দাবি।