আমরা দেশে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে এনে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি।
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত ১২ তলা-বিশিষ্ট ভবন ‘বিজয়-৭১’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
উচ্চআদালতের রায় এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশে গরীব অসহায় মানুষের জন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল গঠন, সুপ্রিমকোর্টে বিচারক নিয়োগ, ভবন নির্মাণসহ অবকাঠোমো উন্নয়নের ব্যবস্থা নিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে বিচারব্যবস্থা ভার্চুয়ালি চালু রেখে মানুষকে আইনি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। এতে ঘরে বসে মানুস সেবা পেয়েছে।’
পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে খন্দকার মোস্তাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা বসে। তার ধারাবাহিকতায় জিয়াউর রহমান ক্ষমতা বসে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বাঁচানোর জন্য তাদের দেশে ও বিদেশে বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠা করে। খুনিদের জন্য বিচার করা না যায়, সেজন্য জিয়াউর রহমান সে ব্যবস্থা করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একইভাবে এরশাদও সংবিধানকে পদদলিত করে ক্ষমতায় এসে দেশে বিচারহীনতা সংস্কৃতি চালু করে। আমরা যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের ব্যবস্থা করি।’
প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে বিচার ব্যবস্থা চালু রাখায় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা বিচারকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। আধুনিকভাবে নির্মিত ভবনে এ সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থার করেছি। এ ছাড়া হাইকোর্টের মাজার গেটে আধুনিক সুবিধাসহ মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যেতে চাই। আমরা কারও কাছে হাত পাততে রাজি নই। স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে দেশ পরিচালনা করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ মাসেই পেয়েছি স্বাধীনতা, এ মাসেই মুক্তিকামী মানুষের ওপর হানাদারের ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এ মাসেই সুপ্রিমকোর্টে বিচারকদের জন্য একটি ভবন উদ্বোধন করতে পেরে আনন্দিত।’ তিনি জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। একইভাবে জাতীয় চার নেতা ও সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
অন্যান্যের মধ্যে আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও সিনিয়র আইনজীবীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।