আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য সড়ককে নিরাপদ করা : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার রায় সড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য সড়ককে নিরাপদ করা।’
আজ রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বিকেলে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসের দুই চালকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ওই রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জাবালে নূর পরিবহনের বাসচালক মাসুম বিল্লাহ, মো জোবায়ের সুমন ও চালকের সহকারী মো. আসাদ কাজী। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ছয় মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও বাসচালকের সহকারী মো. এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলা দ্রুততার সাথে শেষ করতে যা যা করণীয় তা করা হবে। এই মামলার পেপারবুক তৈরি হওয়ামাত্র উচ্চ আদালতে শুনানির তালিকায় আনার চেষ্টা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিচারক আদালত এই মামলার আসামিদেরকে সকল আইনি অধিকার দিয়ে এবং আইনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিচারকাজ শেষ করে আজ রায় দিয়েছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য সড়ককে নিরাপদ করা এবং সড়ক পরিবহন আইনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করা।’
আনিসুল হক বলেন, ‘এই মামলার বিচারের মধ্য দিয়ে আমরা বিচারহীনতার সংষ্কৃতিকে পেছনে ফেলার আরেকটা মাইলফলক পার হলাম।’
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে চালক ও তাদের সহকারীরা বেশি যাত্রী ওঠানোর লোভে যাত্রীদের কথা না শুনে জিল্লুর রহমান উড়াল সড়কের ঢালের সামনে রাস্তা ব্লক করে দাঁড়ায়। ওই সময় চালক মাসুম বিল্লাহ সেখানে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪-১৫জন শিক্ষার্থীর ওপর বাস উঠিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থী নিহত ও নয়জন আহত হয়।
নিহতরা হলো- আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও দিয়া খানম মিম (১৬)। সেদিন জাবালে নূর পরিবহনের বাস দুটি দুই থেকে তিনবার একে অপরকে ওভারটেক করে। ওই ঘটনায় নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
ওই দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ‘সবার জন্য নিরাপদ সড়কের দাবিতে’ রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা।