আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই : দুদকে বিডিনিউজের সম্পাদক

Looks like you've blocked notifications!
দুদক কার্যালয়ে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। ছবি : এনটিভি

বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী নিজ নামে ও বিডিনিউজের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। সোমবার সকালে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। এই অভিযোগে তিনি  বিস্মিত।

‘জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের চিঠি পাওয়ার পর সোমবার ঢাকার দুদক কার্যালয়ে এসেছিলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। সেখানেই তিনি এ বিষয়ে প্রথমবারের মত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

গত ৫ নভেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে ১১ নভেম্বর সোমবার দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন’ এবং বিভিন্ন ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তাঁর বক্তব্য জানা প্রয়োজন।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন খুবই শক্তিশালী একটি মহলকে নাখোশ করেছে। আর আমার সহকর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ ও উদাহরণযোগ্য সাংবাদিকতার মূল্য এখন আমাদের এভাবে দিতে হচ্ছে।’

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করলেও দুদকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোয় সোমবার তিনি কমিশনের দপ্তরে যান। পরে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আগে করা তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সময় দেওয়া হবে। তিনি ফিরে যেতে পারেন।

সোমবার দুদক কার্যালয়ে বিডিনিউজের সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেউ একটি উদাহরণ দেখিয়েও বলতে পারবে না যে, আমি জীবনে, সারা জীবনে, যতদিন ধরে আয়কর দেওয়ার পরিস্থিতি হয়েছে, আমার আয়সীমা আয়করের মধ্যে এসেছে আর আমি আয়কর দেইনি এটা পৃথিবীর কেউ প্রমাণ করতে পারবে না কোনো দিন। কেন আমি জোর গলায় কথা বলতে পারি, কারণ আমি নিয়ম-কানুন মেনে চলি, বাংলাদেশের যে আয়কর আইন আছে, সেগুলো মেনে চলি, সমস্ত কিছু মেনে চলি। আমার পৃথিবীর কোথাও কোনো সম্পদ কোনো দিন ছিল না।’

হঠাৎ কেন ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ তোলা হল, তা সাংবাদিকদেরই ‘তদন্ত’ করে দেখতে বলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। বলেন, ‘সাংবাদিক হিসেবে আপনারা ইনভেস্টিগেশন করেন যে কেন হয়েছে। কোন খবর নিয়ে হয়েছে। কোনো খবরে যদি আমাদের ভুল থাকত, একটি শব্দ, একটি বাক্য, একটি তথ্য, তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারত। মামলা করেনি কেন? এই পথ কেন নিয়েছে?’