আরব আমিরাতে সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুবাই এয়ার শো-২০১৯ ও অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) চার দিনের সরকারি সফর শেষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরেছেন।

ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। বার্তা সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পিএমও সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এর আগে বিমানটি দুবাইয়ের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের পথে রওনা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা পাঁচ দিনের ১৬তম দ্বিবার্ষিক ‘দুবাই এয়ার শো’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ‘দুবাই এয়ার শো’ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সফল বিমান প্রদর্শনী এবং মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার বৃহত্তম অ্যারোস্পেস ইভেন্ট।

পরে প্রধানমন্ত্রী দুবাইয়ের ভবিষ্যৎ বিমানবন্দরে (দুবাই আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামেও পরিচিত) দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রালে নজরকাড়া অ্যারোব্যাটিক এয়ার প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করেন।

দুবাই এয়ার শোর ফাঁকে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর উপ-সর্বোচ্চ কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

শাংগ্রি-লা হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দেওয়া আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা যোগ দেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধার্থে তৈরি পোশাক খাত, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষির সম্ভাবনাময় খাতে এবং বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় বৃহৎ পরিসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।