আরো ৪ ‘ত্রাণচোর’ চেয়ারম্যান-মেম্বার বরখাস্ত, মোট ১১১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসুচি ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং তিনজন ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ ধরনের অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ১১১ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। যার মধ্যে ৩৬ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৯ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চারজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
আজ সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান হলেন মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার ২ নম্বর তালখড়ি ইউনিয়ন পরিষদের মো. সিরাজ উদ্দীন মণ্ডল। ভিজিডি কার্ডের চাল উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে মজুদ রাখার অভিযোগ তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
অপরদিকে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ১১ নম্বর পেড়লী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শাহাজন শেখ (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন) এবং একই জেলার কালিয়া উপজেলার বাঐসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রকিত শেখকে সরকারি নিয়মনীতির ব্যতয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজ পরিবারের ও আত্মীয়স্বজনের নাম নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলাধীন ১২ নম্বর আছিম পাটুলী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোছা. রাশিদা খাতুনকে লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) আওতায় ইউড্রেইন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে একই অভিযোগে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীকে (আলম) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সদস্যদের কেন চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব চিঠি প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠা নার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।