আলমডাঙ্গা পৌর নির্বাচন ঘিরে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুর, আহত ৩

Looks like you've blocked notifications!
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে নৌকা ও মোবাইল ফোন প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছবি : এনটিভি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নৌকা ও মোবাইল ফোন প্রতীকের অন্তত ছয়টি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন, আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরের রবিউল ইসলাম (৫২) ও আলতাফ হোসেন (৩৫)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা মোটরসাইকেলে করে মহড়া দিতে দিতে কলেজপাড়া ও আনন্দধামে যান এবং সেখানে মোবাইল ফোন প্রতীকের কার্যালয় এবং নজরুল ইসলাম নামের এক কর্মীর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ সময় মোবাইল ফোন প্রতীকের কর্মীরা চাতাল মোড়, কলেজপাড়া ও গোবিন্দপুর এলাকায় নৌকার চারটি কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এ সময় নৌকার কর্মী বিপ্লব, রশিদ ও শাহীন আহত হন। তাঁদের হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে নৌকা ও মোবাইল ফোন প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছবি : এনটিভি

হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নৌকার প্রার্থী হাসান কাদির গণু ও মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থী সবেদ আলী পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছেন।

এরই মধ্যে নৌকা প্রতীকের কর্মী আ স ম আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মোবাইল ফোন প্রতীকের ৪৯ জনের নাম উল্লেখ এবং ১২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, ‘এক পক্ষের মামলা হলেও অপর পক্ষের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’