‘আ.লীগ জাতীয় পার্টিকে, জাতীয় পার্টিও আ.লীগকে চায় না’

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর কার্যালয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য দেন। ছবি : স্টার মেইল

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এমপি বলেছেন, জাতীয় পার্টি কখনই পরগাছা হয়ে রাজনীতি করবে না। জাতীয় পার্টির নিজস্ব রাজনীতি আছে, নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়েই রাজনীতির মাঠে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো জোটেই নেই। বর্তমানে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে চায় না, জাতীয় পার্টিও আওয়ামী লীগকে চায় না। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গেও আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।

জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশকে জুলুমখানায় পরিণত করেছে। আমরা দেশের মানুষকে সব  জুলুম নির্যাতন থেকে মুক্তি দেব। আমরা বিরোধী দলে আছি, সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আমরা দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলব।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সাংগঠনিক সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় জি এম কাদের এ সব কথা বলেন।

এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ১৯৯১ সালের পর থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দুটি দলই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। দেশের মানুষের অধিকার হরণ করে দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সুশাসন নির্বাসনে দিয়েছে। দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কবর দিয়েছে। সব স্তরে দলীয়করণের মাধ্যমে লুটপাটের মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়েছে দুটি দলের নেতাকর্মীরা। তারা হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করে। ছোটখাটো নির্বাচনে তারা কোটি কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নামে।

জি এম কাদের বলেন, দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে চায় না। কারণ, তারা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। দেশের মানুষ দিশেহারা, তারা এই দুটি দলের হাত থেকে মুক্তি চায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে দুঃশাসন সৃষ্টি করেছে, আমরা দেশের মানুষের জন্য প্রকৃত গণতন্ত্র উপহার দেব।

এ সময় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। নির্যাতনের শিকার লেখক মুশতাক জেলখানায় মারা গেছেন। নির্যাতিত কার্টুনিস্ট কিশোর জামিন পেয়েছে মুশতাকের মৃত্যুর পরে। দেশের মা-বোনরা ধর্ষিত হচ্ছে, বিচার পাচ্ছে না।

বাবলু আরও বলেন, শুধু ভৌগোলিক স্বাধীনতার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়নি। বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্যই আমাদের একাত্তরের মুক্তি সংগ্রাম। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছে।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী মীর আব্দুস সবুর আসুদ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মোহাম্মদ নোমান মিয়া, আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু, মো. শামসুল হক, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, ইকবাল হোসেন তাপস, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।