আ.লীগ নয়, বিএনপিই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে : কৃষিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ফাইল ছবি

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে, ভূলুণ্ঠিত করেছে এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছে। তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির কথা শোভা পায় না।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুধু বিএনপি-জামায়াত, রাজাকার ও আলবদর নয়, আন্তর্জাতিক চক্র যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেনি, বার বার এদেশে বিপর্যয় ঘটাতে চেয়েছে, তারাও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষণ্ন করতে সারাক্ষণ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসব দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের উদাহরণ। কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়া অত্যন্ত অন্যায় ও ভিত্তিহীনভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।’

আজ রোববার সকালে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা পরিষদ মাঠে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সরকার বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তাজউদ্দীন আহমদের নাম উচ্চারণ করেনি- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মার চেয়ে মাসীর দরদ বেশি। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর। এই ৫০ বছরে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এক সেকেন্ডের জন্য একবারের জন্যও কি তাজউদ্দীন আহমদের নাম, জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নাম উচ্চারণ করেছে? করেননি। আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী যেকোনো অনুষ্ঠানে প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে ও শ্রদ্ধা জানায়, তারপর জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করে তাদের বক্তব্য শুরু করে। আওয়ামী লীগ সবসময়ই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিষয়ে সচেতন ও শ্রদ্ধাশীল এবং মুক্তিযুদ্ধ যাদের নেতৃত্বে হয়েছে, তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।’

পরে কৃষিমন্ত্রী সখিপুর উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগদান করেন।

এ সময় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলকে আরও সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী করতে হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে, দলকে তারা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেজন্য, বঙ্গবন্ধু ও দলের আদর্শের প্রতি নেতাকর্মীর আনুগত্য, রাজনৈতিক দৃঢ়তা এবং অতীত কর্মকাণ্ড ভালভাবে যাচাই-বাছাই করে নতুন কমিটিতে স্থান দিতে হবে।’

সখিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শওকত শিকদারের সঞ্চালনায় টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক  শামসুন নাহার চাঁপা, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, পরিবেশ ও বন উপকমিটির সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়, তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ, সখিপুর পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।