আ.লীগ-বিএনপি অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ : জি এম কাদের

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনের বদলে রাজনীতির পরিবর্তন চায়। তাই সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনে দেশের মানুষ অংশ নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষ জানে, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন আরও বেড়ে যাবে। কারণ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে অচল মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাই, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না সাধারণ মানুষ।

বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশে অনেক বেশি সুশাসন দিতে পারবে।

আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে দলের প্রেসিডিয়াম সভায় সভাপতির বক্তৃতায় জি এম কাদের এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ এতটাই ব্যস্ত যে রাজনীতির মাঠে তারা নেই বললেই চলে। আবার বিএনপি এরইমধ্যে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাজনীতির মাঠে জাতীয় পার্টি অনেক সোচ্চারভাবে সক্রিয় আছে। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও জাতীয় পার্টি সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই নির্বাচনের মাঠে আছে।

জি এম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের ৯০ ভাগ মানুষের হৃদয়ের প্রত্যাশা পূরণ করতেই ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করে একই সঙ্গে সব ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু কেউ যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করবো। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে চাইলে আমরা তা প্রতিহত করবোই।

এ সময়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি জাতীয় পার্টির হাত ধরেই এগিয়ে যাবে। জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ কিছু করতে পারবে না। তিনি বলেন, খুব অল্প সময় আছে, তাই দ্রুততার সঙ্গে তৃণমূলে জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে জাতীয় পার্টি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, আলহাজ সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ফকরুল ইমাম, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, আলহাজ সফিকুল ইসলাম সেন্টু, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, সংসদ সদস্য নাজমা আখতার, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, মো. জহিরুল ইসলাম, ক্বারি মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী।