সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে বিএনপির ১৫৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়দেব বাদী হয়ে বিএনপির ১১৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইট, সহসভাপতি ও পৌর বিএনপির সভাপতি নাজমুল হাসান রানা, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আবদুল জব্বার বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজেশ প্রমুখ।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ‘গতকাল রোববার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। হামলায় আমিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ হামলার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল সিরাজগঞ্জ ভাসানী মিলনায়তন চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের আয়োজনে একটি বিজয় র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।

বিজয় র‌্যালিটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে স্থানীয় ভাসানী মিলনায়তন এলাকায় পৌঁছালে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামানসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।