আ.লীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ পরাজিত : আমীর খসরু

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা সভায় ব্ক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

বিএনপির কঠিন বার্তার কারণে দেশের মানুষ টানেলের শেষে আলো দেখতে পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বিএনপির বার্তায় মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে, আশান্বিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ এখন রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ পরাজিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবি এবং কারাগারে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে রিজভীর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে’ অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আমীর খসরু এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘রিপন (বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন) বলেছিল কিছু হবে তো? হওয়াটা পুরোপুরি আমাদের ওপর। বিদেশিরা অনেক দিক থেকে আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। কয়েক দিন আগে বিরোধী দলের বিষয়ে জাতিসংঘ দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা ও ইইউসহ সবাই বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এসে আমাদের যুদ্ধ তারা করতে আসবে না। আমাদের যুদ্ধ আমাদের করতে হবে। আমরা যদি যুদ্ধ করতে পারি, তাহলে সহায়ক শক্তি এগিয়ে আসবে, সমর্থন দেবে।’

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘আন্দোলন, সমর্থন যেটা বাংলাদেশে ইতোমধ্যে একটা প্রচ্ছন্ন পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ আজকে রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ পরাজিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের অবস্থান জনগণের বিরুদ্ধে। আর কিছু আওয়ামী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বাংলাদেশকে তারা বাকশালের দিকে নিয়ে গেছে।’

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট দিতে হবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘তা ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে ছাত্রদলকে পদাতিক বাহিনী হিসেবে দেখতে চাই। অন্যান্য সহযোগী সংগঠনকেও ভূমিকা রাখতে হবে। আগামী ৪ মার্চ সব মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচি আছে। ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক ৫১ থানায় এই পদযাত্রা কী হবে, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু পর্যবেক্ষণ করবে। এই পদযাত্রা বিশালভাবে করতে হবে।’

আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন ছাড়া দেশ ও জনগণের মুক্তি নেই।’ সুচিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে রুহুল কবির রিজভীকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সাবেক ছাত্রনেতা আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রনেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কামরুজ্জামান রতন, হামিদুর রহমান হামিদ, রকিবুল ইসলাম বকুল, আজিজুল বারী হেলাল, আব্দুল খালেক, ওবায়দুর রহমান চন্দন, জাকির হোসেন রোকন, আকরামুল হাসান, ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।