আল্লামা শফীর মৃত্যুর মামলায় পিবিআইয়ের তদন্ত শুরু
হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু অস্বাভাবিক দাবিতে করা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ মঙ্গলবার সকালে পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সুপার ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত দল হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় পৌঁছায়। সেখানে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমির মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরীসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তাঁর এই মৃত্যুকে অস্বাভাবিক দাবি করে ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন মরহুমের শ্যালক মো. মঈনুদ্দিন। আদালত এক মাস সময় দিয়ে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে।
এ ব্যাপারে তদন্ত দলের প্রধান পিবিআইয়ের বিভাগীয় সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এজাহারে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেসব বিষয় অবশ্যই আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করব। সেইসঙ্গে আলামত সংগ্রহ ও সাক্ষী নেব। তদন্তের স্বার্থে যা কিছু করা প্রায়োজন তা করব।’
তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সে রকম প্রয়োজনীয়তা নেই।’
গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় এক ছাত্র বিক্ষোভের মুখে আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালকের পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পরের দিনও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আন্দোলনরত ছাত্রদের বিক্ষোভ বন্ধ না হওয়ায় পরের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার দিকে মহাপরিচালক আহমদ শফী নিজেই তাঁর পদ থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন।
পরবর্তী সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।