আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা ফেরত দিলেন আদালত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক ড. মোস্তেফা সোউয়াগসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন ফেরত দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আবেদনটি ফেরত দেন।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলার আবেদন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি মশিউর মালেক। ওই দিন শুনানি শেষে বিচারক আজ মামলা আমলে নেওয়ার বিষয়ে আদেশের জন্য রাখেন।
দুপুরে এই মামলা গ্রহণের পক্ষে বাদীপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি শোনেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম। শুনানিতে বিচারক জানতে চান, বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে এই দেশে মামলা চলতে পারে কি না?
জবাবে বাদীর আইনজীবী আবদুল খালেক বলেন, ‘আমরা দণ্ডবিধির ৩ ও ৪ ধারা ব্যাখ্যা করে বলেছি, এই মামলা বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে চলতে পারে।’
দণ্ডবিধির ৩ ধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইন বলে বিচারযোগ্য যেকোনো অপরাধের বিচার দেশের বাইরে হলেও তা দেশীয় আইনে করা যাবে।
আর ৪ ধারায় বলা হয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিককেও এই আইনের আওতায় বিচার করা যাবে।
আদালত বিকেলে আদেশ দিয়ে বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন নিতে হয়। সেরকম অনুমোদন না থাকায় আবেদনটি ফেরত দেওয়া হলো।’
মামলার আরজিতে বলা হয়েছিল, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনামহানি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়েছেন। তারা যৌথভাবে অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে ভুয়া, মিথ্যা তথ্য সংবলিত করে প্রতিবেদন বানিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রচার করেছে।
প্রতিবেদনটি ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করে। পরের দিন বিভিন্ন মুদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকায় প্রচার হয়।
মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছিল তাঁরা হলেন আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক ড. মোস্তেফা সোউয়াগ, বাংলাদেশি জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামি, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল ও যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।